জুলাই অভ্যুত্থানের বই নিয়ে বিতর্ক: যা বললেন আসিফ মাহমুদ

জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার লেখা বই ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে চলছে নানা বির্তক।
এর মাঝে রোববার (১৬ মার্চ) আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তাতে তিনি তার বই লেখার প্রেক্ষাপট ও সম্প্রতি এই নিয়ে গড়ে ওঠা বিতর্ক নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পোস্টটি তুলে দেয়া হলো- বইটা জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, সম্পূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস না।
গতকাল প্রকাশনা অনুষ্ঠানেও বলেছি, আবারও বলছি। জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু বইটা আমার চোখে গণঅভ্যুত্থানকে যেভাবে দেখেছি সেই অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। সম্পূর্ণ গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস না। ব্যক্তি আসিফ মাহমুদের অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতাকে সম্পুর্ন গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস হিসেবে ধরে নেওয়া ভুল হবে।
গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তখনই পূর্ণতা পাবে যখন অন্তত আরো কয়েকশ জন তাদের অভিজ্ঞতা লিখবে। তখনই কেবল পাঠক সব মেলাতে পারবেন। জুলাইয়ের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য সারাদেশের সকল সংগঠকদের লিখতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়াও বইটি সংক্ষিপ্ত, এখানে অনেক বড় ঘটনাকেও ১ লাইনের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। মাত্র ১২০ পৃষ্ঠায় আমার নিজের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে ফ্রি সময় পেলেই এই বইয়ের টাইমলাইন ধরে ধরে বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ। বিস্মৃত হয়ে যাওয়ার শংকা থেকেই ছোট আকারে প্রাথমিকভাবে লিখে রাখা।
এত বিস্তৃত গণঅভ্যুত্থান, লক্ষ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণ, শত শত জায়গায় শত শত ঘটনা। সব আমার চোখের সামনে ঘটেনি, যা ঘটেছে তাই জায়গা করে নিয়েছে এই বইতে। এজন্যেই আরো লিখা আসা প্রয়োজন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো বড় ঘটনার ইতিহাস লিখাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং, প্রথম চ্যালেঞ্জটা আমিই নিলাম। শুরুটা করলাম, এবার আপনারাও লিখুন। পূর্ণতা পাক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস।