প্রবাসের সংবাদ

কাতারে বাংলাদেশ স্কুলের হটকারী GB/PTA নির্বাচন বন্ধের দাবী

প্রবাসের বার্তা নিউজ ডেস্ক:

কাতারে বাংলাদেশীদের  একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এম,এইচ,এম,স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হতে চলেছে। গত প্রায় আঠারো বছর এই নির্বাচন বন্ধ ছিল তৎকালীন সরকার আধিপত্যবাদী নীতির কারনে। সেই একই মডেল অনুসরণ করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সেই আধিপত্যবাদেরই আরেক প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত স্কুল কতৃপক্ষ ও তাদের ফ্যাসিবাদের দোসররা। যেমন:
১. বোর্ডের নিয়ম অনুসরণ না করে বা বর্তমান সরকারের অধ্যাদেশ না মেনে, পূর্বের কমিটি বাতিল না করে এবং এড-হক কমিটি গঠন না করে পতিত সরকারের লোকজনকে রাখার জন্য কমিটির মেয়াদ বাড়ান এবং সেই সময়ও শেষ হয়েছে মার্চ মাসে। কিন্তু এখনও তারা বসে আছে এবং নিজেরাই প্রার্থী হয়ে নির্বাচন ঘোষনা করেছে।
2. ভোটার তালিকা তফসীল ঘোষণার চল্লিশ দিন পূর্বে প্রকাশ করার নিয়ম থাকলেও নির্বাচনের দুই দিন বাকী থাকতেও ঘোষণা করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব দিতে পারেননি।
3. অভিভাবকদের প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ না করে ইচ্ছামত ফরম বিক্রি। যেমন, মা এবং বাবার মধ্যে কিভাবে অভিভাবকত্ব নির্ধারণ হবে।
4. বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী founder member-দের নির্বাচনে সংযুক্ত না করা।

5. ইচ্ছামত ফ্যাসিবাদের দোসরদের হাতে নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব দেয়া। যা নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
6. ভোটারের সঠিক সংজ্ঞা না দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী করা। যেমন ভোটারকে এবং সে কোন কোন ক্ষেত্রে কয়টি ভোটের মালিক না বলা।
7. সবাইকে মুখে মুখে ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানো, কিন্তু কোন নির্বাচনী বিধিমালা প্রনয়ন না করা এবং প্রার্থীদের নমিনেশন ফরমের সাথে বিধিমালা না দেয়া।
8. নির্বাচন কমিশনের এমন বৈষম্যমুলক আচরণে ফ্যাসিবাদের চিত্রফুটে উঠেছে।
9. উপরউল্লেখিত কারণে নানাভাবে বিভিন্ন গ্রুপের উদ্ভব হয়েছে এবং আরেক ফ্যাসিবাদের পয়তারা হচ্ছে।
10. দুইটি দল প্যানেল গঠন করে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন। যা নিয়মের পরিপন্থী। এজন্য অভিভাবকগন রাষ্ট্রদূতের নিকট একটি স্মারক লিপি দিয়ে তাদের নমিনেশন বাতিল এবং যাবতীয় অনিয়ম শুদ্ধ করে নির্বাচন দাবী করেছেন।
তারা মাননীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে এইসব কারণগুলোর ব্যাখ্যা আশা করছেন। ব্যাখ্যা না থাকলে পুনরায় সবাইকে নিয়ে বসে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধও করছন।
আর তা না হলে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের গণআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিপরীতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিয়ে স্কুলের উন্নয়ন সম্ভব না। এর ফলে অভিভাবকদের মধ্যে যে বিরোধ উষ্কে দেওয়া হয়েছে তা আমাদের সন্তানেদর জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
এটাও মনে রাখা দরকার যে রাষ্ট্রদূতের বিদায়ের আগে এটি করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতার অজুহাতে নির্বাচনের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। রাষ্ট্রদূতের আগমন-বিদায় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর সাথে নির্বাচন নীতির কোন সম্পর্ক নেই। আশা করি হ-য-ব-র-ল স্কুলের GB/PTA নির্বাচন বন্ধ করে রাষ্ট্রদূত বিদায়কালে দূরদর্শিতার পরিচয় দিবেন।
স্বারক লিপি প্রদানের সময় অন্যান্য অভিভাবকদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আসন্ন নির্বাচনের GB প্রার্থী রাকিব মোহাম্মদ ( মিলকান). GB প্রার্থী ওমর ফারুক, GB প্রার্থী আলাউদ্দিন, PTA প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুর রহমান, দিদারুল আলম, হুমায়ুন আহমেদ,ফিরোজ শেখ, ওমর ফারুক মুবিন, শামিম আহমেদ, আঞ্জুমানারা রুমা সহ প্রমুখ।

আরও সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button