কাতারের বাংলাদেশ স্কুলের পিটিএ ও জিবি’র নির্বাচন পিছানোর দাবি

আগামী ২০ ও ২১ জুন কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডি ও পিটিএ নির্বাচনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
কাতার প্রতিনিধি জানান, গত ১০ জুন কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও কাতারের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে অভিভাবকদের এ কথা জানানো হয়। এতে আরও জানানো হয় ১০–১৪জুন ফর্ম সংগ্রহ, ১৬ জুন ফর্ম জমা, ১৭জুন ফর্ম বাছাই ও ১৮ চূড়ান্ত প্রার্থি ঘোষণা করা হবে।
স্বল্প সময়ের নোটিশে নির্বাচন ঘোষণায় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ তারিখ বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি তারিখ ঘোষণা করার জন্য গত ১২জুন দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতকে তাঁরা অনুরোধ জানান।
তাঁরা জনান, ২৭শে মে থেকে শুরু হওয়া প্রাক-নির্বাচনী ও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা আগামী ২৬জুন শেষ হবে। পরীক্ষা চলাকালে নিজ নিজ সন্তানদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া, সময় দেওয়া অভিভাবকদের দায়িত্ব। এ সময়ে নিজ সন্তানকে কেয়ার না করে প্রার্থীরা অন্য অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া ও তাদের সন্তানদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটানো কোন সচেতন অভিভাবকের কাজ হতে পারে না।
এছাড়া পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে অভিভাবকরা দুই মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দেশে বেড়াতে যাবেন।
তাই সচেতন অভিভাবকরা চান গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে ছাত্র ও অভিভাবকরা কাতারে আসার পর সুবিধাজনক সময়ে যেন নির্বাচন দেওয়া হয়।
নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের রাখা হয়েছে হলে তারা অভিযোগ করেন। সকল ফ্যাসিস্টকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার জোর দাবি জানান অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। তারা মনে করেন তড়িঘড়ি করে ও ফ্যাসিস্টদের কমিশনে রেখে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাষ্ট্রদূত নেতৃবৃন্দের এ যৌক্তিক দাবির প্রতি সম্মান জানান ও সকল পক্ষের সাথে কথা বলে দ্রততম সময়ের মধ্যে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
অভিভাবক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবু ছায়েদ, শহীদুল হক, শরীফুল হক সাজু, এ,কে,এম, আমিনুল হক, দলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া,আলমগীর হোসেন আলী, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম সারোয়ার মিশু,মহিউদ্দিন কাজল,মোকাররম আলী সাহাদ, দিদারুল আলম আরজু সহ প্রায় শতাধিক অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।