বাংলাদেশ

শরিয়াবিরোধী আইন প্রতিহতের ঘোষণা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা প্রস্তাব হেফাজতের করিডোরের নামে ভূখণ্ড গ্রাসের পাঁয়তারা হলে যুদ্ধের প্রস্তুতি : মামুনুল হক ওয়াশিংটনের গোলামি জনগণ মেনে নেবে না ‘মানবিক করিডোর’ প্রদানে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত শাপলা চত্বরে গণহত্যার তদন্তে কমিশন গঠন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ

প্রবাসের বার্তা অনলাইন ডেস্ক:

৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহ (শরিয়া) বিরোধী আইন বরদাস্ত করা হবে না। এ ধরনের আইন অতীতে কেউ করতে পারেনি ভবিষ্যতেও করতে পারবে না। কেউ করার চেষ্টা করলে জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারী-বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী ধারা সংযোজিত হওয়ায় দেশবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পশ্চিমা ও বিধর্মীদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে নারীর সমান অধিকারের নামে কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী নারী-বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ওই প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে। জনগণের বিরুদ্ধে অপকর্ম করে জনরোষে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালাতে পেরেছেন কিন্তু আলেমদের দাবি উপেক্ষা করে এনজিওদের প্ররোচনায় যারা কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন কার্যকরের চেষ্টা করবেন তাদের পালানোর সুযোগ দেয়া হবে না। কোরআন সুন্নাহবিরোধী নারী সংস্কার কমিশন প্রস্তাবনা এভাবে বাতিলের কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। ‘নারী-বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন সুন্নাহ বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিলসহ চার দফা’ দাবিতে গতকাল শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজত আয়োজিত মহাসমাবেশে নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

লাখো তৌহিদি জনতার এই মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। মহাসমাবেশে শীর্ষ নেতারা ঘোষণা দেন, দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের গোলামি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। রাখাইনে মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশের ভূখ- দখলের পাঁয়তারা করা হলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে, আর তার জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের হাসিনার মতো দিল্লিতে পালাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশের দাবিসমূহ হচ্ছেÑ নারী সংস্কার কমিশনের কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শাপলাসহ সব গণহত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিনে ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ। এ সময় দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেÑ নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগঠনটি তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করবে। এ ছাড়া চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করবে। মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সারা দেশ থেকে ভোর থেকেই বিভিন্ন যানবাহন যোগে সমাবেশ স্থলে লাখো জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যানবাহনগুলো রাজধানীর সড়কপথে অবস্থান নিলে নগরীতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রচ- রোদের মধ্যে সমাবেশস্থলে আগত জনতাকে ছোট ছোট ট্রাকযোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পানীয় ও শুকনো খাবার সরবরাহ করতে দেখা গেছে। রোদের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অগণিত মানুষকে গাছের নিচে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

সংগঠনটির আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে হেফাজতের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। লিখিত বক্তব্যে হেফাজত আমির বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করি। আজো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মতো আবারো ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছিÑ এনজিও গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ইসলামবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অবিলম্বে নারী-বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ধর্মীয় অবমাননা শাস্তির আইন বাতিলের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের গোলামি জনগণ মেনে নেবে না। এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি জায়নামাজের মাটি। রাখাইনে মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশের ভূখ- গ্রাস করার পাঁয়তারা করলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। রক্ত দিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনত এনেছি, রক্ত দিয়েই সেই স্বাধীনতা রক্ষা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যেপথে গেছে আওয়ামী লীগের দালালদের সেপথেই বিদায় করা হবে। কেউ যদি তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জঙ্গি নাটকের মিথ্যা মামলায় আটককৃত আলেম ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। ঘোষণায় বলা হয়, বিগত চব্বিশের জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদের শিকল থেকে মুক্তি লাভ করে দেশ। আমাদের এই মহাসমাবেশ থেকে ৫ মে ২০১৩ সালে শাপলার গণহত্যাসহ জুলাই বিপ্লবের ৮৪ জন মাদরাসা ছাত্র ও শিক্ষকসহ সমস্ত শহীদদের স্মরণ করে তাদের মাগফিরাত কামনা করি এবং শহীদ পরিবারদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।

মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের ১২ দফা ঘোষণা পেশ করা হয়, ঘোষণাসমূহ হচ্ছেÑ নারী-বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিলপূর্বক আলেম-ওলামার পরামর্শক্রমে ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়; বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে। সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ঈমান-আমল রক্ষার্থে ‘বহুত্ববাদ’ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। এছাড়া ‘লিঙ্গ পরিচয়’, ‘লিঙ্গ বৈচিত্র্য’, ‘লিঙ্গ সমতা’, ‘লিঙ্গ বৈষম্য’, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ (বা থার্ড জেন্ডার), ‘অন্যান্য লিঙ্গ’ ইত্যাদি শব্দের মারপ্যাঁচে, ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ এমন ধোঁয়াশাপূর্ণ স্লেøাগানের অন্তরালে এবং অসংজ্ঞায়িত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ (বা ‘ইনক্লুসিভ’) ইত্যাদি শব্দের আড়ালে এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারবাদের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজবিধ্বংসী ও ধর্মবিরোধী সমকামী-বান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদ্গার বন্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। এছাড়া গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে ধর্ম অবমাননার শাস্তি সংক্রান্ত আইনি ধারাগুলো বাতিলের সুপারিশ বাদ দিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার উসকানিদাতা চিন্ময় দাসের জামিন প্রত্যাহারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারা দেশে প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও ইসলামমনা তরুণদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলাগুলো অতিসত্বর প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করতে হবে গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে। সেই সাথে ‘জঙ্গি নাটক’ বা ‘জঙ্গি কার্ড’ খেলে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি ও আলেম-ওলামার ওপর যারা গত ১৫ বছর নির্যাতন ও গুম-খুন চালিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

গাজার মুসলমানদের ওপর অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কূটনৈতিকভাবে আরো উচ্চকণ্ঠ হতে হবে এবং দেশের সর্বস্তরে জনতাকে ইসরাইলি ও ভারতীয় পণ্য বয়কট করতে হবে। শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার চিহ্নিত দোসরদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণাপূর্বক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দলটির বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাখাইনকে ‘মানবিক করিডোর’ প্রদানে সরকারের সম্মত হওয়া সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমাদের ভৌগোলিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চলে ভিনদেশী মিশনারিদের অপতৎপরতা ও দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষায় সেখানে নিরাপত্তা সঙ্কট কমাতে আলেম সমাজের দাওয়াতি কার্যক্রমকে আরো নিরাপদ ও সুযোগ করে দিতে হবে। সেখানে সামরিক নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো বৃদ্ধি করা ছাড়াও পাহাড়ি বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমঝোতা এবং স্থিতি নির্মাণে রাষ্ট্রীয় তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে।

শাপলা চত্বরে গণহত্যার তদন্তে কমিশন গঠন না করায় অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পিলখানা হত্যাকা-, জুলাই গণহত্যার জন্য কমিশন করেছেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন, কিন্তু মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার বিচারের জন্য কেন তদন্ত কমিশন গঠন করলেন না? কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাব বাতিল করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মহাসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা খলিল আহমেদ কাসেমি, নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দিন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মধুপুর পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মুফতি আরশাদ রহমানী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, মাওলানা আবু তাহের নদভি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা ইউনুস রংপুর, মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা সাব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমি, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আনাস, মাওলানা সাঈদ নূর মানিকগঞ্জ, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা খুবাইব বিন তৈয়ব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, চরমোনাই প্রতিনিধি মাওলানা আবুল খায়ের ছারছীনা প্রতিনিধি মাওলানা নুরুর রাহমান বেগ, নেছারাবাদের পীর মাওলানা খলিল আহমদ, মুফতি ইমাদ উদ্দিন, মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি মো. ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা মুফতি মাসুদুল কারীম, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা মুফতি কামাল উদ্দিন, মাওলানা সাইফুল্লাহ, ড. মাওলানা নুরুল আবছার আজহারী।

আরও সংবাদ

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহপূর্বক ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া‘র মন্তব্যের নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন। আপনার ই-মেইল ঠিকানা গোপন থাকবে। নামই-মেইল আবশ্যক।

Back to top button