মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে
রিয়াদে ইসলামী আন্দোলনের ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

গত ৩০ মার্চ ২০২৫ ইং, ঈদের দিন ইসলামী আন্দোলন রিয়াদ মহানগর আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে কারণ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশ রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ দিয়েছেন প্রবাসীরাও তাদের রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশ রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি বলেন প্রবাসীদের বিমান ভাড়া কমানো সহ দূতাবাসের যাবতীয় সেবা প্রদানে যেন অবহেলা না করা হয়, প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলমানের ঘরে জন্ম করেছেন তাই সে মহান আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী হয়ে দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে, সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহবান জানান।
ঈদ পুনর্মিলনীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন সৌদি আরব কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি জহিরুল ইসলাম বলেন ইসলামী আন্দোলন রাজনীতি করে ইবাদাতের রাজনীতি, ইসলামী আন্দোলন আল্লাহর হুকুম, রাসূলের তরিকা ও সাহাবাদের অনুসৃত পথে অবিচল আছে, তাই পর্দা সহ সকল ফরজ ওয়াজিব এমনকি সুন্নাত পরিপন্থী কোন কাজ না করার সদা সচেষ্ট থাকে।
অনুষ্ঠানে রিয়াদ মহানগর সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর সংসদীয় আসনের এমপি পদপ্রার্থী জননেতা মাওলানা ওসমান গনী রাসেলের সভাপতিত্বে শাখার সেক্রেটারি কবির হোসাইন আলমাস-এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা আলাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, সহ-সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জহির রায়হান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ইয়াসিনুল কবির রোকন, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, আইন বি. স. মুরাদ হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ শাহাদাত হোসাইন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত, হেফাজত, মজলিস, বিএনপি সহ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীলগণ।
ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন হারামাইন শিল্পী গোষ্ঠি।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট ৬ টি দাবী উত্থাপন করেন, যথা:-
১.প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যতিত নির্বাচন আয়োজন না করার অনুরোধ।
২.বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ইসলাম বিরুধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
৩.কারাবন্দী ইসলামী আন্দোলন নেতাকর্মী সহ সকল নিরাপরাধ আলেমদের মুক্তি দিতে হবে।
৪.দেশের অধিকাংশ জনগণের রায়ের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন PR পদ্ধতিতে আয়োজন করতে হবে।
৫.সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।
৬.অতিদ্রুত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি ফয়যুল করীমকে বরিশাল সিটি মেয়র ঘোষণা করা হোক।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর মিলনমেলায় পরিনত হয়।আগত সবার মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি করেন।