
ঈদুল ফিতরে রাজধানীবাসী অনেকটা স্বস্তির ঈদ উদযাপন করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় এবারের ঈদে ছিনতাই ও ডাকাতি হতে পারে বলে নগরবাসীর মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা ছিল। এ ছাড়াও ঢাকা ফাঁকা হওয়ায় ছিল নিরাপত্তার শঙ্কা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকায় ঢাকার কোনো স্থানে ডাকাতি বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাই হয় ঢাকার এমন প্রায় ৫০টির বেশি স্থানে ঈদ উপলক্ষে আলাদা নজরদারি গড়ে তোলা হয়েছিল। ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে যেসব ডাকাত চক্র ছিল এবং আগে যারা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল, তারা জেলে আছে না বাইরে, তাদের আলাদা করে ডাটাবেজ তৈরি করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। যারা জেলের বাইরে ছিল, তাদের আলাদা করে নজরদারি গড়ে তুলেছিল পুলিশ। এদের কয়েকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এতে এবার ছিনতাই ও ডাকাতি রোধ করা গেছে।
ঈদের সময় বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কগুলোতে পুলিশের মোবাইল টিম সক্রিয় ছিল। এ ছাড়াও র্যাবের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঢাকার একাধিক মোড়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়েছে।
র্যাবের টহল সম্পর্কে জানা গেছে, ঢাকায় ৬৯টি টহল টিম ছিল র্যাবের। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ১৪৯টিসহ মোট ২১৮টি টহল টিম মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। র্যাব গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করেছিল। এ ছাড়াও র্যাবের টহল টিম যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি চালিয়েছে। পাশাপাশি র্যাবের সাইবার সেল ভার্চুয়াল জগতে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে সতর্ক ছিল।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে তৎপর ছিল।